পৃথিবীর বাইরে কি অন্য কোন গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব থাকা সম্ভব? বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত এর গ্রহণযোগ্য কোন উত্তর দিতে পারেননি। যারা বিজ্ঞান নিয়ে বেশি চিন্তা করেন তারা অনেকেই হয়তো এটা চিন্তা করেন আসলেও কি পৃথিবী ছাড়া অন্য কোন গ্রহ, উপগ্রহ বা নক্ষত্রে প্রাণ বা প্রাণের অস্তিত্ব আছে কিনা। অনেকে হয়তো খুব দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে হ্যাঁ পৃথিবীর বাইরেও প্রাণের অস্তিত্ব আছে, একই ভাবে অনেকে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে না সৃষ্টিকর্তা শুধুমাত্র পৃথিবীতেই প্রাণী সৃষ্টি করেছেন। এখন আসল ব্যাপার হল যার যার কথাটি প্রমান করা। এখন পর্যন্ত আমাদের Modern Science-এর অনেক অজানা কিছুর সমাধান
করে দিয়েছে মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল-কুরআন। যায় হোক আমি সেই দিকে না যায়।
আমাদের পৃথিবী যে ছায়াপথে অবস্থিত তার নাম
আকাশগঙ্গা
(সুত্র-Google)। ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসের ৪ তারিখ জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা তথ্য প্রকাশ করেন যে এই আকাশগঙ্গা ছায়াপথ টিতে প্রায় ৪০ বিলিয়ন পৃথিবীর মত সাদৃশ্যপূর্ণ গ্রহ আছে। আর শুধুমাত্র মহাকাশেই আমাদের ছায়াপথের মত ১০০ বিলিয়ন ছায়াপথ আছে। তাহলে চিন্তা করুন এটা কি অসম্ভব যে পৃথিবীর বাইরে কোন জায়গায় প্রাণের অস্তিত্ব থাকতেই পারে ??
আকাশগঙ্গা
(সুত্র-Google)। ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসের ৪ তারিখ জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা তথ্য প্রকাশ করেন যে এই আকাশগঙ্গা ছায়াপথ টিতে প্রায় ৪০ বিলিয়ন পৃথিবীর মত সাদৃশ্যপূর্ণ গ্রহ আছে। আর শুধুমাত্র মহাকাশেই আমাদের ছায়াপথের মত ১০০ বিলিয়ন ছায়াপথ আছে। তাহলে চিন্তা করুন এটা কি অসম্ভব যে পৃথিবীর বাইরে কোন জায়গায় প্রাণের অস্তিত্ব থাকতেই পারে ??
এখন আপনাদেরকে জানাবো পবিত্র কুরআন এলিয়েনদের সম্পর্কে কি বলছে। তার আগে যারা এলিয়েন সম্পর্কে জানেন না তাদের জন্য বলি এলিয়েন বলতে পৃথিবীর বাইরের যেকোনো প্রাণীকেই আমরা পৃথিবীর মানুষেরা এলিয়েন বলে থাকি। আসুন জেনে নিই পৃথিবীর বাইরে প্রাণীর অস্তিত্ব সম্পর্কে পবিত্র কুরআন কি বলছে।
আল্লাহ-তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন-
وَمِنْ آيَاتِهِ خَلْقُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَثَّ فِيهِمَا مِن دَابَّةٍ ۚ وَهُوَ عَلَىٰ جَمْعِهِمْ إِذَا يَشَاءُ قَدِيرٌ
وَمِنْ آيَاتِهِ خَلْقُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَثَّ فِيهِمَا مِن دَابَّةٍ ۚ وَهُوَ عَلَىٰ جَمْعِهِمْ إِذَا يَشَاءُ قَدِيرٌ
(৪২ঃ২৯)
Wamin ayatihi khalqu assamawatiwal-ardi wama baththa feehima min dabbatinwahuwa AAala jamAAihim itha yashao qadeer
And of his signs is the creation of the heavens and earth and what He has dispersed throughout them of creatures. And He, for gathering them when He wills, is competent.
তাঁর এক নিদর্শন নভোমন্ডল ও
ভূমন্ডলের সৃষ্টি এবং এতদুভয়ের মধ্যে তিনি যেসব জীব-জন্তু ছড়িয়ে দিয়েছেন।
তিনি যখন ইচ্ছা এগুলোকে একত্রিত করতে সক্ষম।(সূরা আশুরাঃ-২৯)
اللَّهُ الَّذِي خَلَقَ سَبْعَ
سَمَاوَاتٍ وَمِنَ الْأَرْضِ مِثْلَهُنَّ يَتَنَزَّلُ الْأَمْرُ
بَيْنَهُنَّ لِتَعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
وَأَنَّ اللَّهَ قَدْ أَحَاطَ بِكُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا
(৬৫ঃ১২)
Allahu allathee khalaqa
sabAAasamawatin wamina al-ardi mithlahunnayatanazzalu al-amru baynahunna
litaAAlamoo anna AllahaAAala kulli shay-in qadeerun waanna Allaha qad
ahatabikulli shay-in AAilma
It is Allah who has created
seven heavens and of the earth, the like of them. [His]
command descends among them so you may know that Allah is over
all things competent and that Allah has encompassed all things
in knowledge.
আল্লাহ সপ্তাকাশ সৃষ্টি করেছেন
এবং পৃথিবীও সেই পরিমাণে, এসবের মধ্যে তাঁর আদেশ অবতীর্ণ হয়, যাতে তোমরা
জানতে পার যে, আল্লাহ সর্বশক্তিমান এবং সবকিছু তাঁর গোচরীভূত।(সূরা ত্বালাকঃ-১২)
সুবহানআল্লাহ!!
এখানে এই আয়াত দুইটির মাধ্যমে বোঝা যায় যে পরমকরুনাময় আল্লাহতায়ালা হয়তো এটিই বোঝাতে চেয়েছেন যে পৃথিবীর মত জীবন ধারণ করা যায় এরকম আরও ৬টি গ্রহ বা উপগ্রহ অথবা নক্ষত্র তিনি সৃষ্টি করেছেন। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে নভোমণ্ডলের মধ্যে তিনি প্রাণের অস্তিত্ব ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিয়েছেন। এবং একমাত্র তিনি ইচ্ছা করলেই যেকোনো সময় তাদেরকে একত্রিত করতে পারেন।
পবিত্র কুরআনের এই আয়াত থেকে এটা একরকম Sure ভাবেই বলা যায় যে পৃথিবীর বাইরেও প্রাণের অস্তিত্ব থাকাটা খুবই স্বাভাবিক।
আলেম উলামাদের কাছে আমার অনুরোধ যদি আমি কোন কিছুর ভুল ব্যাখ্যা করে থাকি আমাকে যেন তা ধরিয়ে দেন, এবং আল্লাহ যেন আমাকে ক্ষমা করে দেন তার জন্য দোয়া করেন।
আলেম উলামাদের কাছে আমার অনুরোধ যদি আমি কোন কিছুর ভুল ব্যাখ্যা করে থাকি আমাকে যেন তা ধরিয়ে দেন, এবং আল্লাহ যেন আমাকে ক্ষমা করে দেন তার জন্য দোয়া করেন।
No comments:
Post a Comment