আসুন জেনে নিই যমজ সন্তান কেন হয়? ও এর ফলে কি কি সমস্যা দেখা দিতে পারে !!

গর্ভবতী মায়েরা অনেক সময় দুই বা ততোধিক সন্তান জন্ম দিয়ে থাকেন। আসুন জেনে নিই কি কি কারনে যমজ সন্তান হয়? এবং যমজ সন্তান হলে মা ও শিশুর শরীরে কি কি সমস্যা দেখা দিতে পারে?
যমজ সন্তান দুই ধরনের কারনে হয়ঃ
১। যমজ সন্তান দুইটি ভিন্ন ভিন্ন ডিম্বক থেকে জন্ম নিতে পারে। এধরনের ফলাফল চিকিৎসাজনিত কারনেই বেশির ভাগ সময় হয়ে থাকে। যেমনঃ বন্ধাত্তের চিকিৎসার জন্য মায়ের গর্ভাশয়ে অনেক গুলো ডিম্বক প্রবেশ করানো হয় যার ফলে একই সময়ে একের অধিক ডিম্বক নিষিক্ত হয়ে পড়ে। আর এর ফলে যমজ
সন্তান হতে দেখা যায়। টেস্টটিউব বেবিদের ক্ষেত্রেও এরকম দেখা যায়।
২। অনেক সময় একই ডিম্বক দুইটি শুক্রাণু দারা নিষিক্ত হয়ে যায়, যার ফলে যমজ সন্তান হয়। এই কারনতির উপর কারোরই হাত নেই। এটি যে কারো ক্ষেত্রে ঘটতে পারে।



এখন আসুন দেখি যমজ সন্তান হলে কি কি সমস্যা হতে পারেঃ
১। মা এবং বাচ্চা, দু'জনের শরীরেই বেশ কিছু জটিলতা দেখা যায়৷
২। মূলত মায়ের শরীরে রক্ত স্বল্পতা দেখা যায় ৷ প্রেসার বেড়ে যায়, রক্তক্ষরণ এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দেয়৷
৩। ডেলিভারির পর রক্তস্রাব বেশি হয়৷এর ভয় থাকে৷
নেক সময় মায়ের মৄত্যু পর্যন্ত হতে পার।
৪। অপরিণত বাচ্চা
৫। বাচ্চার ওজন কম হয়।
৬। নানা ধরনের জন্মগত ত্রুটি।
৭। ডেলিভারির সময় সমস্যা হতে পারে৷
৮।প্রি-টার্ম ডেলিভারির ক্ষেত্রে অনেক সময় মায়ের মৄত্যু পর্যন্ত হতে পারে ৷
৯। জন্মের সময় মৄত্যুও হতে পারে।



চিকিৎসাঃ
১. মাকে স্বাভাবিক নিয়মের তুলনায় বেশি পরিমাণে বিশ্রাম নিতে হবে৷
২. পুষ্টিকর খাবার বেশি খেতে হবে৷
৩. ডেলিভারির আগে অর্থাৎ প্রেগনেন্সির সময় অ্যানিমিয়া ধরা পড়লে অথবা রক্তক্ষরণ বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিলে ঘনঘন চেক-আপ করাতে হবে৷
৪. অ্যানিমিয়া ঠেকাতে আয়রন ফলিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়াতে হবে ৷
৫. ডেলিভারির নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে উপযুক্ত পরিকাঠামো আছে এমন হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে ৷

No comments:

Post a Comment